স্পোর্টস ডেস্ক: মুমিনুল হক, সাব্বির রহমান ও এনামুল হক বিজয়দের গড়া রেকর্ড ভাঙলেন সাইফ হাসান, তৌহিদ হৃদয়রা।
সোমবার মালয়েশিয়ায় অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে দলগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ যুবারা। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৬ উইকেটে ৩৩৫ রান করে বাংলাদেশ।
২০১০ সালে যুব বিশ্বকাপে নেপিয়ারে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ৩০৭ রান করেছিলেন মুমিনুল হক ও সাব্বির রহমানরা। সাত বছর পর তাদের রেকর্ড ভেঙে নতুন কীর্তি গড়লেন সাইফ হাসানের দল। যুব ওয়ানডেতে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশের রান তিনশ অতিক্রম করল। ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে মেহেদী হাসান মিরাজের দল ৭ উইকেটে করেছিল ৩০৪ রান।
আগের ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে জিতলেও ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়াতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। বায়োসমাস ওভালে আজও শুরুটা ছিল নড়বড়ে। ওপেনার পিনাক ঘোষ ১২ ও নাঈম শেখ ১৩ রানে সাজঘরে ফিরেন। ৩৬ রানে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানরা সাজঘরে ফেরার পর তৃতীয় উইকেটে পাল্টে যায় বাংলাদেশের ব্যাটিং চিত্র। ১৯২ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহের ভিত এনে দেন অধিনায়ক সাইফ হাসান ও তৌহিদ হৃদয়। তৃতীয় উইকেট জুটিতে এটিও নতুন রেকর্ড। ২০১৬ সালে চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পিনাক ঘোষ ও নাজমুল হোসেন শান্ত ১৭৯ রান করেছিলেন।
বগুড়ার ছেলে তৌহিদ হৃদয় প্রথমবারের মতো তিন অঙ্কের দেখা পেলেও সাইফ হাসান ১০ রানের আক্ষেপে পুড়েন। ১০৩ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৯০ রান করে হাফিজের বলে আউট হন। অন্যদিকে তৌহিদ হৃদয় ১২০ বলে করেন ১২০ রান। ৭টি চার ও ৪টি ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান হৃদয়। তাদের ফিরে যাওয়ার পর শেষ দিকে মালয়েশিয়ার বোলারদের ওপর আসল ঝড়টা তুলেন আমিনুল ইসলাম। মাত্র ১৭ বলে ৩৯ রান করেন আমিনুল। মাটি কামড়ে দুইবার ও হাওয়ায় ভাসিয়ে বল চারবার মাঠের বাইরে পাঠান। উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৯ বলে ২ ছক্কায় করেন ১৬ রান। সব মিলিয়ে দলগত ব্যাটিং নৈপুণ্যে পাহাড় সমান লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ।
বল হাতে মালয়েশিয়ার প্রতিটি বোলার রান বন্যায় ভেসেছেন। সাঈদ আজিজ ১০ ওভারে দিয়েছেন ৯৬ রান। ৪ উইকেট পাওয়া মুহাম্মদ হাফিজ ৭৮ রান দিয়েছেন ৯ ওভারে।